December 21, 2024, 11:23 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত মানচিত্রে ফিলিস্তিনের নাম মুছে ফেলেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র ও ইসলাম ধর্মের শেষ নবীর আর্বিভাবের দেশ সৌদি আরব।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ সালের ‘সোশ্যাল অ্যান্ড ন্যাশনাল স্টাডিজ’ পাঠ্যবইয়ে সৌদি আরব ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই মানচিত্রে ফিলিস্তিনের অংশটিতে কিছু লেখা নেই। ২০২২ সালের বইগুলোতে একই জায়গায় ‘ফিলিস্তিন’ লেখা ছিল।
ইসরায়েলিপন্থি থিঙ্কট্যাংক ইমপ্যাক্ট-এসইর প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইমপ্যাক্ট-এসই বিভিন্ন দেশের স্কুলের শিক্ষাক্রম বিশ্লেষণ করে। ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্যে এই সংস্থার কার্যালয় রয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য, ইসরায়েলের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ পায় এমন বেশ কিছু শব্দ পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, শত্রু, জায়োনিস্ট শত্রু বা যেসব বাক্য বা শব্দাংশের মাধ্যমে এ অঞ্চলে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দেওয়া হতো, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইমপ্যাক্ট-এসই জানিয়েছে, বইগুলোতে জেরুজালেমের বদলে শুধু পূর্ব-জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমকে অধিকৃত বলা হয়েছে। আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জায়োনিজমকে বর্ণবাদী ইউরোপীয় আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করা হলেও এ ধরনের বাক্য নতুন বইয়ে নেই। সব মিলিয়ে আগের পাঠ্যবই থেকে ইসরায়েল-বিরোধী অনুভূতিকে উসকে দিতে পারে এমন ২১টি অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মার্কিন উদ্যোগের অংশ হিসেবেই পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে যাচ্ছে, যার হাত ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে। এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব মার্কিন সহায়তায় প্রাণঘাতী নয়- এমন পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
তবে রিয়াদ জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আলাদা করে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী নয়। ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী সরকার এই দাবি মানতে অস্বীকার করেছে।
Leave a Reply